করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা নিয়ে পরস্পরবিরোধী তথ্য দেওয়ায় হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোসের ওপর বেজায় চটেছেন ট্রাম্প।
সিএনএন-এর প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হোয়াইট হাউস থেকে প্রেসিডেন্টের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য প্রদানে গরমিল নিয়ে মার্কিন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ৩ অক্টোবর হোয়াইট হাউসে প্রেসিডেন্টের চিকিৎসক সিন কনলি এক ব্রিফিংয়ে জানিয়েছিলেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জ্বর সেরেছে। তাঁর শারীরিক অবস্থার উন্নতি হচ্ছে। তবে তিনি বিপদমুক্ত নন। তিনি বিকেলের বেশির ভাগ সময় কর্মব্যস্ত ছিলেন। হাসপাতালের বিশেষ কক্ষে তিনি সহজভাবে চলাফেরা করেছেন। তাঁকে নিয়ে চিকিৎসকেরা আশাবাদী বলেও জানান কনলি।
এই ব্রিফিংয়ের পরেই হোয়াইট হাউসে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোস। সে সময় তিনি সাংবাদিকদের ট্রাম্পের স্বাস্থ্য সংক্রান্ত ভিন্ন তথ্য দেন। যে তথ্যের সঙ্গে একটু আগেই দেওয়া সিন কনলির তথ্যের তেমন একটা মিল নেই।
ছবি: রয়টার্স
মার্ক মেডোস সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আগের ২৪ ঘণ্টা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা বেশ কনসার্নের ছিল। পরের ৪৮ ঘণ্টা তাঁর জন্য আরও বেশি জটিল সময়। তাঁর পুরোদমে সেরে ওঠার ব্যাপারে নিশ্চিত করে বলার সময় এখনো হয়নি।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডোনাল্ড ট্রাম্পের একজন জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা বলেন, এই ঘটনার কারণেই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প মার্ক মেডোসের ওপর বেজায় খেপেছেন। তিনি ক্ষোভও প্রকাশ করেছেন।
ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার তথ্য প্রদানে হোয়াইট হাউস বেশ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু সিন কনলির দেওয়া তথ্যের পর মার্ক মেডোসের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া এতে ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার তথ্য নিয়ে করা ব্রিফিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট হচ্ছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার তথ্য প্রদানে হোয়াইট হাউস বেশ সতর্কতার সঙ্গে কাজ করছে। কিন্তু সিন কনলির দেওয়া তথ্যের পর মার্ক মেডোসের দেওয়া তথ্য বিভ্রান্তির সৃষ্টি করছে। এ ছাড়া এতে ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থার তথ্য নিয়ে করা ব্রিফিংয়ের বিশ্বাসযোগ্যতাও নষ্ট হচ্ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক সিন কনলি বলেছেন, ‘আমি মনে করি, হোয়াইট হাউসের চিফ অব স্টাফ মার্ক মেডোসের বক্তব্য ট্রাম্পের শারীরিক অবস্থা সম্পর্কে ভুল ধারণা দিয়েছে।’
