ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য করণীয়-
বাংলাদেশ রোড ট্রান্সপোর্ট অথরিটি (বিআরটিএ) এর নিয়ম অনুযায়ী ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে প্রথমে শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স গ্রহন করতে হয়। শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স এর মেয়াদ ০৩ (তিন) মাস। ০২ (দুই) মাস উত্তীর্ণ হলে নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত পরীক্ষা দিতে হয়। লিখিত পরীক্ষায় পাস করার পর মৌখিক পরীক্ষা ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হয়। সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়ার পর বিআরটিএ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করে থাকে।
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়ার পদ্ধতি-
শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স পেতে হলে নির্ধারিত আবেদন ফরম ও মেডিকেল সার্টিফিকেট (মেডিকেল সার্টিফিকেট একজন রেজিষ্ট্রার্ড ডাক্তার কর্তৃক পূরণ করতে হবে) পূরণ করে রক্তের গ্রুপসহ নির্ধারিত আবেদন ফিসহ সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্র পাওয়ার পর লাইসেন্সিং কতৃপক্ষ কর্তৃক ০৩ (তিন) মাসের জন্য শিক্ষানবীশ ড্রাইভিং লাইসেন্স প্রদান করবেন। অতঃপর লাইসেন্সিং কর্তৃপক্ষ পদত্ত নির্ধারিত তারিখ অনুযায়ী লিখিত, মৌখিক ও ব্যবহারিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করতে হবে।
ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট পাওয়ার উপায়-
ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিটের পূর্ব শর্ত হিসাবে বাংলাদেশি বৈধ ড্রাইভিং লাইসেন্স থাকতে হবে। এই পারমিটের জন্য সচিব, অটোমোবাইল এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ, ৩/বি, আউটার সার্কুলার রোড, মগবাজার, ঢাকা- ১২১৭ বরাবর নির্ধারিত ফরমে আবেদন করতে হয়। আবদেনপত্রের সাথে প্রয়োজনীয় ফিস (নগদ টাকা), বাংলাদেশি ড্রাইভিং লাইসেন্সের সত্যায়িত ফটোকপি, পাসপোর্টের ফটোকপি এবং তিন কপি স্ট্যাম্প ও এক কপি পাসপোর্ট সাইজের ছবি সংযুক্ত করতে হয়। ইন্টারন্যাশনাল ড্রাইভিং পারমিট এক বছর মেয়াদে প্রদান করা হয় এবং মেয়াদ শেষ হলে তা পূনরায় নবায়ন করা যায়। এই পারমিট সচিব, অটোমোবাইল এ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং বিআরটিএ’র সহকারী পরিচালক (লাইসেন্স কর্তৃপক্ষ) এর যৌথ স্বাক্ষরে ইস্যু করা হয়।
মোটরযানের রেজিষ্ট্রেশনের নিয়ম-
ইনভয়েস/বিক্রয় রশিদে মালিকের যে ঠিকানা উল্লেখ থাকবে সেই এলাকার সংশ্লিষ্ট বিআরটিএ অফিসে গাড়ী হাজিরসহ নির্ধারিত আবদেনপত্র (‘এইচ’ ফরম) মোটরযান রেজিষ্ট্রেশনের জন্য আবেদন করতে হয়। ইনভয়েস/বিক্রয় রশিদে উল্লেখিত ঠিকানা ব্যতীত আবদেনপত্রে মালিকের অন্য কোনো ঠিকানা বা একাধিক ঠিকানা লিপিবদ্ধ করা যায় না। রেজিষ্ট্রেশন আবেদনপত্র সকল বিআরটিএ অফিসে পাওয়া যায়। এ-ছাড়াও, বিআরটিএ ওয়েবসাইটে (www.brta.gov.bd) হতে ডাউনলোড করা যায়। ড্রাইভিং লাইসেন্স ও রেজিষ্ট্রেশনসহ বিআরটিএ’র সেবা কার্যক্রমরে যাবতীয় ফরম এই ওয়েবসাইট হতে ডাউনলোড করা যায়।রেজিষ্ট্রেশনে যে-সব কাগজপত্র/ডকুমেন্টস প্রয়োজন হয়, তা সব গাড়ীর ক্ষেত্রে একই রকম/ধরনের হয় না। গাড়ী তৈরি, সংযোজন, আমদানি, বিক্রয়ের ধরন ইত্যাদির ওপর ভিত্তি করে ভিন্ন ভিন্ন কাগজপত্রের প্রয়োজন হয়। সাধারন যে-সব কাগজপত্রের প্রয়োজন হয় তার বর্ণনা নিম্নে দেওয়া হলো-
আবেদন পত্রের সাথে যে সমস্ত দলিল জমা দিতে হবে-
মালিক ও আমদানীকারক/ডিলার কর্তৃক যথাযথভাবে পূরণ ও স্বাক্ষর করা আবেদন (‘এইচ’ ফরম)
একাধিক ব্যাক্তি যৌথভাবে কোনো গাড়ির মালিক হলে সে-ক্ষেত্রে একজনের নামে রেজিষ্ট্রেশনের জন্য সকলের সম্মতি সম্বলিত হলফনামা।
প্রতিষ্ঠান/কোম্পনির ক্ষেত্রে স্বাক্ষর ও সিলমোহর।
ব্যাংক অথবা অথলগ্নি প্রতিষ্ঠানের সাথে গাড়ির মালিকানার আর্থিক সংশ্লিষ্টতা থাকলে ব্যাংক বা অর্থলগ্নিপ্রতিষ্ঠানের প্যাডে রেজিষ্ট্রেশন কর্তৃপক্ষ বরাবর আবেদন।
ব্যাক্তি মালিকানাধীন আবেদনকারীর ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র/পাসপোর্ট ইত্যাদি যে কোনটির সত্যায়িত ফটোকপি এবং মালিক প্রতিষ্ঠান হলে প্রতিষ্ঠানের প্যাডে চিঠি।
বিল অব এন্ট্রি, ইনভয়েস, বিল অব লেডিং ও এলসিএ কপি।
সেল সার্টিফিকেট/সেল ইন্টিমেশন/বিক্রয় প্রমানপত্র (আমদানীকারক/বিক্রেতা প্রদত্ত)
প্যাকিং লিষ্ট, ডেলিভারী চালান ও গেইট পাশ (সিকেডি গাড়ির ক্ষেত্রে)
সার্টিফিকেট এবং অনুমিত আয়কর প্রদানের প্রমানপত্র।
বিদেশি নাগরিকের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের ওয়ার্ক পারমিট এবং ভিসার মেয়াদের কপি।
মূসক-১১ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) মূসক-১১(ক)AVT(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) ভ্যাট পরিশোধের চালান (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
প্রস্ত্ততকারক/বিআরটিএ কর্তৃক অনুমোদিত বডি ও আসন ব্যবস্থার স্পেসিফিকেশন সম্বলিত ড্রইং (বাস, ট্রাক, হিউম্যান হলার, ডেলিভারী ভ্যান, অটোটেম্পুর ইত্যাদি মোটরযানের ক্ষেত্রে)
সিকেডি (CKD) মোটযানের ক্ষেত্রে বিআরটিএ’র টাইপ অনুমোদন ও অনুমোদিত সংযোজনী তালিকা।
বডি ভ্যাট, চালান ও ভ্যাট পরিশোধের রশিদ (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
রেজিষ্ট্রেশন ফিস প্রদানের রশিদ।
কাস্টমস ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের ছাড়পত্র (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
নিলামে ক্রয়কৃত সরকারি/আধাসরকারি/স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের গাড়ির ক্ষেত্রে নিলাম সংক্রান্ত কাগজপত্র এবং মেরামতের বিস্তারিত বিবরণ।