তওফিক মুজতাবার ‘সাংরিলায় সাত বছর’, ডঃ আশরাফ আহমেদ

103

তওফিক মুজতাবার ‘সাংরিলায় সাত বছর’
– ডঃ আশরাফ আহমেদ, মেরিল্যান্ড


লেখক তওফিক মুজতাবা ধারণা করি আমার চেয়ে দুয়েক বছরের বড় হবেন, পড়তেন আমার এক ক্লাশ ওপরে। আপন ফুপাত ভাই হলেও দেখা সাক্ষাৎ হয়েছে কম, এবং মেলামেশা হয়েছে আরো কম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পড়াশোনা শেষ করে তিনি জাতিসঙ্ঘের অঙ্গ সংস্থা ইউনিসেফ এর প্রতিনিধি হয়ে পৃথিবীর অনেক দেশে বাস করেছেন। আমিও চার দশক থেকে বাংলাদেশের বাইরে। দুই বছর আগে ঢাকায় গেলে হঠৎ করেই কয়েক মিনিটের জন্য দেখা হয়ে গেল চার দশকের বেশি সময় পরে। তখনই জানলাম কাজ থেকে অবসর নিয়ে তিনি বাংলায় লেখালেখি করছেন, বাস করেন বিলাতে। আমি নিজেও সম্প্রতি ছোটখাট কিছু লিখছিলাম বলে সেই থেকে আবার নতুন করে যোগাযোগ শুরু হলো ইমেইল এবং ফেসবুকের মাধ্যমে। অনলাইনে তাঁর কয়েকটি গল্প পড়েই আমি অবাক হয়ে গিয়েছিলাম! ইংরেজি মাধ্যমে স্কুল-কলেজ এবং ইংরেজি সাহিত্যের ছাত্র হয়ে এতো সুন্দর গল্প তিনি বাংলায় লিখছেন কি করে? কী তাঁর গল্পের গাঁথুনি, কী তাঁর উপমা, আর কী তাঁর উপলব্ধি ও পাণ্ডিত্যপূর্ণ প্রকাশ! সাথে সূক্ষ্ম রসবোধ! মনযোগী পাঠকরাই তাঁর লেখার গুরুত্ব ও সাহিত্যরস উপলব্ধি করতে পারবে।

সপ্তাহ দুই আগে তিনি ওয়াশিংটন ডিসি এলাকায় এসেছিলেন সস্ত্রীক। তাঁর সাথে একটি অর্ধেক দিনের স্মরণীয় ও উপভোগ্য সময় কাটালাম। ফেরার সময় নিজের লেখা চারটি বই উপহার দিলেন। লেখার গুণে এবং একদিন বাড়িয়ে নেয়া এই সপ্তাহে চারটি ছুটির দিন থাকায় সবগুলো বইই আমি পড়েছি। ‘স্মৃতি এলোমেলো’ নিতান্তই ব্যক্তিগত ও পারিবারিক ঘটনা নিয়ে লেখা হলেও প্রায় প্রতিটি চরিত্র পরিচিত ও প্রিয় বলে আগ্রহ নিয়ে পড়েছি। ‘নরকুম্ভীর’ এবং ‘তওফিক মুজতাবার ছয়টি গল্প’র কয়েকটি অন্তর্জালে আগেই পড়া ছিল। সেদিন মুখোমুখি আলোচনায় অর্বাচীনের মত আমার করা সমালোচনাটিকে ম্লান করে দিয়ে গত বছর ঢাকা থেকে ‘আবিষ্কার’ প্রকাশিত ১৮৮ পৃষ্ঠার ‘সাংরিলায় সাত বছর’ বইটি পড়লাম একরাশ মুগ্ধতা নিয়ে! বইটিকে তাঁর শ্রেষ্টতম রচনা মনে বলে হয়েছে। এতে ইউনিসেফের চাকুরি নিয়ে ভুটানে কাটানো তাঁর সাতটি বছরের স্মৃতিচারণ করেছেন দীর্ঘ কুড়ি বছর পর, নির্মোহ ভাবে।

‘দেশে বিদেশে’ ভ্রমণ কাহিনির ভেতর দিয়ে সৈয়দ মুজতবা আলী শুষ্ক-রুক্ষ আফগানিস্তানের নগণ্য ভৃত্য আব্দুর রহমানকে আমাদের হৃদয়ের এক উচ্চ-কোমল স্থানে বসিয়ে দিয়েছিলেন। আর ‘সাংরিলায় সাত বছর’ গ্রন্থের ভেতর দিয়ে লেখক তওফিক মুজতাবা ভুটান নামের পুরো দেশটিকে আমাদের হৃদয়ে এক সম্মানজনক অবস্থানে স্থাপন করেছেন। দুই লেখকের নামে কিছুটা সাদৃশ্য থাকলেও তাঁদের মাঝে ব্যাক্তিগত বা পারিবারিক কোনো সম্পর্ক নেই।

বইটি পড়ার পর মনে হলো ভুটান সম্পর্কে বলতে গেলে আসলে আমি কিছুই জানতাম না। ভারত উপমহাদেশে আমাদের প্রতিবেশী একটি দেশ বলে ধরেই নিয়েছিলাম যে, দেশটির মানুষ, খাদ্যাভ্যাস, এবং সংস্কৃতি-কৃষ্টিও বাংলাদেশের মতোই হবে। অথচ প্রকৃতপক্ষে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ওরা আমাদের থেকে সম্পূর্ণ ভিন্ন, এবং সম্ভবতঃ অনেক ক্ষেত্রেই অনুকরণীয়। ভুটান পৃথিবীতে বাংলাদেশকে সার্বভৌম হিসেবে সর্বপ্রথম স্বীকৃতিদানকারী দেশ হওয়া সত্ত্যেও একটি ভুল ধারণার বশবর্তী হয়ে দেশটি সম্পর্কে আমার আগ্রহ তেমন আলাদা কিছু ছিল না। এ ব্যাপারে গাফিলতি শুধু আমারই নয়, ধারণা করি বাংলাদেশের অধিকাংশ মানুষ একই দোষে দোষী। আর তা না হলে সাম্প্রতিককালে বাংলাদেশের অসংখ্য পর্যটক অপূর্ব প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এবং সত্যিকারের সভ্যলোকের (আমার মূল্যায়নে) আবাসভূমি নিকটস্থ ভুটানকে ছেড়ে শুধু ব্যাংকক, সিঙ্গাপুর, আবুধাবী, বা ইউরোপের দিকেই বা ছুটবে কেন? অথচ আকাশ পথে ঢাকা থেকে ভুটানের দূরত্ব এক ঘন্টারও কম! অবশ্য ভুটান যে বিদেশি পর্যটকের সংখ্যা কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করে থাকে উচ্চহারে কর আরোপ করে, লেখক তাও উল্লেখ করেছেন।

বইটি পড়ে মনে হলো দক্ষিণ এশিয়ার সাতটি স্বাধীন দেশের মাঝে সম্ভবতঃ একমাত্র ভুটানেই পেশাগতভাবে মানুষে মানুষে কোনো ভেদাভেদ করা হয় না। ফলে আপনি হোমরা চোমরা কেউ হলে প্রথমে সেদেশে গিয়ে একটু হোঁচট খেতে পারেন। আবার দরিদ্র না হয়েও একটি বাড়তি উপার্জনের আশায় দেশটির পররাষ্ট্র সচিব মাইনে করা ড্রাইভারের অনুপস্থিতিতে গভীর রাতে নিজেই গাড়ীর ড্রাইভার হতে রাজি হয়ে যান। তেমনি কাস্টমস সুপারিন্টেন্ডেন্ট নিজ কাঁধে করে ঘর্মাক্ত কলেবরে মালামাল একতলা থেকে তিন তলায় পৌঁছে দেন।
আয়তনে ভুটান বাংলাদেশ থেকে খুব ছোট নয়, পাঁচ ভাগের প্রায় চার ভাগের সমান। কিন্তু রাজধানী থিম্পু শহরটি এতোই ছোট যে এর দীর্ঘতম রাজপথটি পায়ে হেঁটে দশ মিনিটেই পাড়ি দেয়া যায়! ‘মহায়ানা’ বৌদ্ধধর্মাবলম্বী দেশটিতে রাজা এবং প্রধান-লামা বা ভিক্ষুর ক্ষমতা ও আসন প্রায় সমান। আইনের প্রতি লোকজন খুবই শ্রদ্ধাশীল। প্রকৃতি এবং প্রাকৃতিক সম্পদ ধ্বংস করা যাবে না বলে পাহাড়ের ঢালে বানানো ঘর-বাড়িতে ঢুকে যাওয়া পাথরগুলোর নিজ নিজ আকৃতি ওরা নস্ট করে না। প্রাত্যহিক জীবনযাপনে অধিবাসীদের চাহিদা খুবই কম; নির্লোভ বিধায় চুরি চামারি নেই বললেই হয়। ফর্মাল পরিবেশে পরস্পরের সাথে কথা বলে নিম্নস্বরে, পাশে বসা লোক তার কিছুই শুনতে পায় না। স্বামী বা একত্রে ঘর করা ছেলেবন্ধুকে আর ভাল না লাগলে একটি পুঁটুলিতে দুই একদিনের খাবার সহ কাপড়চোপর ও ব্যাবহার্য দ্রব্যাদি ঘরের বাইরে রেখে দিলেই হলো। বেচারা একটি টু শব্দও না করে ঘরের বাইরে কোনোরকমে রাতটি কাটিয়ে সকালে কোথাও সটকে পড়বে। কিন্তু প্রেম-প্রীতি ভালোবাসার জন্য এঁদের মধ্যে খুনখারাপিও হয়ে থাকে। অথচ লোকজন ঝগড়া-ফ্যাসাদ কী জিনিস তা প্রায় জানেই না। মামলা মোকদ্দমার জন্য কোর্ট কাছারি থাকলেও সারাবছর অব্যবহৃত কাছারি ভবনের দরজার তালায় মরিচা পড়ে থাকে। আধুনিকতার সংজ্ঞায় না হলেও ভুটান যে আসলেই একটি সভ্য জাতি বইটি পড়ে আমার তাই বদ্ধমূল ধারণা হয়েছে।

ভুটানিদের এই যে সভ্য চরিত্র লেখক এঁকেছেন, তা করেছেন অত্যন্ত মানবিক একটি মন নিয়ে। এই দেশটির যে যে ব্যাপার তার মনঃপুত হয়নি অথবা সাংঘর্ষিক মনে হয়েছে, তার সমালোচনা না করে বরং চমৎকার সব সূক্ষ্ম রসবোধের সাথে উপস্থাপন করেছেন। কয়েকটি উদাহরণ দিয়ে বোঝানো যাক। বৌদ্ধধর্মে জীবহত্যা এবং অপচয় দুটোই মহাপাপ। অথচ মাংস ভোজন করতে গেলে জীবহত্যা করা ছাড়া উপায় নেই। ‘তাই ওরা (ইয়াক) ক্যালেন্ডার ধরে প্রতি শনিবার রাতে একটি বা দুটো করে উঁচু পাহাড় থেকে পা পিছলে নীচে পড়ে যায়। সাথে সাথে শেষ’। ইয়াক হচ্ছে উঁচু পর্বতে বাস করা গরু জাতীয় কিন্তু অনেক বেশি লোমস একটি প্রাণী। অপচয় হবে ভেবে মৃত প্রাণীটির মাংস পরদিন রোববার সকালের বাজারে গিয়ে উপস্থিত হয়। আরেক যায়গায় লেখককে তাঁর ট্যুর গাইড মন্দিরের একটি দ্বিখণ্ডিত প্রস্তর দেখিয়ে এর ইতিহাস বলছিল। মহামতি অতীশ দীপাঙ্করের মা পূর্বজন্মের পাপের প্রায়শ্চিত্ত করতে পরজন্মে কীট হয়ে জন্ম নিয়ে একটি পাথরের মাঝে চাপা পড়েছিলেন। মায়ের দূর্দশা লাঘবে দীপাংকর তরবারির এক কোপে পাথরটিকে দ্বিখণ্ডিত করে ফেলছিলেন। অবিশ্বাস্য হলেও ভক্তিভরে বলা গল্পটি শুনে তওফিক মুজতাবা লিখেছেন ‘অতীশ দীপাংকরের অসির আঘাতে আঘাত দেই কী করে?’

ভুটানে দুষ্ট ভুতের উপদ্রব খুব বেশি। অবশ্য বাড়িঘর, মন্দির বা হোটেলের দেয়ালে আঁকা বিশালাকৃতির পুরুষাঙ্গকে ভুতেরা খুব ভয় পায়! কখন কার ওপরে যে ভর করবে তার ঠিক নেই। তখন ঘর্মগুরু লামার পরামর্শানুযায়ী ভুক্তভোগীর নাম এবং বাড়ি পালটে ফেলা ছাড়া উপায় থাকে না। ভুটানের পররাষ্ট্র সচিব এভাবেই এক সুন্দরী ভুতের আছর থেকে রক্ষা পেয়েছিলেন। খোদ পররাষ্ট্র মন্ত্রীর সই করা চিঠিতে সচিবের নতুন নামকরণের কথা জানানো হয়েছিল। কিন্তু সেই বোকাসোকা ভুতের প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে লেখক বলছেন ‘আরে আমাদের পাড়ার দুষ্ট ছেলেরাও তো এর চেয়ে খারাপ! খুঁজে খুঁজে ঠিক বের করে নেয় কে কোথায় গিয়ে উঠলো, কে কার আড়ালে লুকোচ্ছে’। ‘পরে শুনেছিলাম ভুটানের ভুত……শত্রুর সব খবরাখবর রাখে, পদমর্যাদা, প্রতিপত্তি, বিশেষ করে ব্যাংক ব্যালেন্স।‘ লাভবান হয় লামারা।

আরো একটি ব্যাপার। মহাভারতের পঞ্চপাণ্ডবের স্ত্রীর মতো আধুনিক ‘দ্রৌপদী’র উদাহরণও দেখতে পাই এই বইটিতে যদিও সে ঠিক ভুটানি নয়। সে ছিল ভুটানে বাস করা পাঁচ ভ্রাতৃ-স্বামীর স্ত্রী, তিব্বতের বাস্তুহারা এক হৃদয়বতী মহিলা। আবার ভুটানের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের বর্ণনাগুলোও তিনি দিয়েছেন অতি দক্ষতার সাথে। ফলে ‘ঘোড়াগুলোও যেন থমকে গেছে’র মত লেখকের সাথে আমিও পর্বতেশ্বরী দেবীর নিবাস ‘জুমোলহারি’র শ্বাসরুদ্ধকর সৌন্দর্য দেখে সম্মোহনীর মত পড়া বন্ধ করে চোখ বুঁজে থেকেছি। পাহাড়ি ঢালে ঘোড়ার পিঠে চড়ে অথবা গাড়িতে করে প্রাণটি হাতে নিয়ে যাওয়ার সময় লেখকের মতোই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখতে দেখতে আনন্দে খরস্রোতা পারো নাদী এবং থিম্পু নদীর উল্লাসের সাথে একাত্ম হয়েছি। লেখকের মতে ‘ভুটান ভোগ বিলাসের জায়গা না, উপভোগের স্বর্গ’।

এভাবে তাঁর দেখা প্রতিটি ঘটনা ও জীবনব্যবস্থা এমন মুন্সীয়ানার সাথে লেখক বর্ণনা করেছেন যে ভুটানকে শুধু একটি মহান দেশ হিসাবেই নয়, বইটি উন্নতমানের এক সাহিত্য হিসেবে আমার সামনে উপস্থিত হয়েছে। একবার কয়েকদিনের দীর্ঘ ও দুর্গম পথ পাড়ি দিয়ে ‘…কথাবার্তা কমতে কমতে যখন প্রায় নিঃশেষিত, ঠিক তখনই দেখলাম এক অপূর্ব দৃশ্য। একটা বিশাল মানব বন্ধন পাহাড়ের গা ঘেঁষে এঁকেবেঁকে চলে গেছে দূর থেকে কাছে, ফের কাছ থেকে দূরে, ফের কাছে। যেন সবুজ পাহাড়ের বুকে এই শীতেও ফাগুনের মেলা বসেছে, লাল নীল, হলু্দ, কমলা, আকাশি, কী নেই ওখানে?…হাত নেড়ে, নিশান উড়িয়ে, হেসে আমাদের স্বাগত জানাচ্ছে। এরকম তো আধমাইল হবেই। আমাদের কাফেলা এই মানুষের মালার পাশ ঘেঁষে ধীরে ধীরে গিয়ে থামলো একটা ছোট্ট খোলা যায়গায়।‘

প্রথম পুরুষে লেখা হলেও ছোট ছোট বাক্য, চমৎকার উপমা ও মন্তব্যে ভরা বর্ণনাগুলো সম্পূর্ণ নৈর্ব্যাক্তিক ভাবে একেকটি কাব্যিক আবহ সৃষ্টি করেছে। বইটির মাঝামাঝি এর ছন্দপতন হলেও শেষের দিকে লেখক তা আবার কাটিয়েও উঠেছেন। সাধারণের নাগালের বাইরে এক গায়ে কাঁটা-দেয়া পরিবেশে হিমালয়ের আধা মানুষ-আধা ভল্লুকের এক কাল্পনিক প্রাণীর দেহাবশেষ দেখার বর্ণনার সাথে ভুটানের ঐতিহাসিক এক যুদ্ধের অবতারণা করে ঐন্দ্রজালিক পরিস্থিতিও সৃষ্টি করেছেন। সেটি তাঁর লেখক স্বত্বার আরেকটি ডাইমেনসনের পরিচয় দিয়েছে। ‘বিদায়’ শিরোনামের শেষ অধ্যায়ের শেষ বর্ণনাটিতে সৈয়দ মুজতবা আলীর কাবুল বিমান বন্দর ত্যাগের সময়কার সুরটি করুণ ভাবে বেজে ওঠে। কিন্তু সেই বাঁশি মরুময় আফগানিস্তানের আবদুর রহমানের শুভ্র হৃদয়টির জন্য নয়, গাছগাছালিতে ছাওয়া বরফাচ্ছাদিত ছোট্ট ভুটানের প্রতিটি মানুষের জন্য। বানানের দূর্বলতা ছেড়ে দিলে এতো সুন্দর ভ্রমণমূলক বই আমি কমই পড়েছি। অবশ্য বানান ঠিক করা লেখকের নয়, প্রকাশক এবং সম্পাদকের দায়িত্ব বলেই জেনে এসেছি।
আমি বইটির বহুল প্রচার কামনা করি।

৩রা সেপ্টেম্বর, ২০১৮