অস্কারের মঞ্চে সুমাইয়া শিমু! অবাক হচ্ছেন? ভাবছেন, এটা কীভাবে সম্ভব? আর এখন তো অস্কারের সময় না। তাহলে? ঠিকই ধরেছেন। কোনো অনুষ্ঠান নয়, আজ বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের লস অ্যাঞ্জেলেসের হলিউডে ডলবি থিয়েটারে ঘুরে দেখতে যান বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় টিভি তারকা সুমাইয়া শিমু। সেখান থেকে বের হয়ে মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, ‘ডলবি থিয়েটারে আমি ছিলাম ৪০ মিনিট। এই সময়টা আমার জীবনে দারুণ স্মৃতি হয়ে থাকবে। আমি এখনো অন্য রকম এক ঘোরের মধ্যে আছি। এই মুগ্ধতা বলে বোঝানো যাবে না।’
সুমাইয়া শিমু ২০ দিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে যান। তাঁর স্বামী নজরুল ইসলাম যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা রিলিফ ইন্টারন্যাশনালের বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হিসেবে কর্মরত আছেন। অফিসের কাজে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে যান। এবার তাঁর সঙ্গে গেছেন সুমাইয়া শিমু। শুরুতে তাঁরা যান ওয়াশিংটন ডিসিতে। এরই মধ্যে সানফ্রানসিসকো আর নিউজার্সিতে গেছেন। এখন আছেন লস অ্যাঞ্জেলেসে। এখানে হলিউড শহরে আছেন চার দিন। এরপর তাঁদের নিউইয়র্কে যাওয়ার কথা আছে। সেখানে থেকে ওয়াশিংটন ডিসি হয়ে দেশে ফিরবেন তাঁরা। সুমাইয়া শিমু বলেন, ‘ও ব্যস্ত অফিসের কাজ নিয়ে, আর আমি ঘুরে বেড়াচ্ছি।’
অস্কারের মঞ্চে ওঠার অনুভূতি নিয়ে সুমাইয়া শিমু বললেন, ‘এই ডলবি থিয়েটারে অস্কার অনুষ্ঠান হয়। প্রতিবছর এই অনুষ্ঠানে বিখ্যাত আর জনপ্রিয় সব তারকা আসেন। অস্কার যাঁরা পাচ্ছেন, এই মঞ্চে দাঁড়িয়ে তাঁদের নাম ঘোষণা করা হয়। আবার এই মঞ্চ থেকে বিজয়ীরা অস্কার ট্রফি গ্রহণ করেন। নিজেদের অনুভূতি জানান। মঞ্চের সামনে যে দর্শকসারি, এখানে সব তারকা আর বিখ্যাত ব্যক্তিরা এসে বসেন। আমার মনে হচ্ছিল, ডলবি থিয়েটারে আজ আমি তাঁদের সঙ্গেই দাঁড়িয়ে আছি, বসে আছি, হাঁটছি। আমি কোন ভাষা দিয়ে বোঝাব এই অনুভূতি!’
ডলবি থিয়েটারে যে পথ দিয়ে তারকারা হেঁটে যান, ওপরে ওঠার জন্য যে সিঁড়ি কিংবা লিফট ব্যবহার করেন, সুমাইয়া শিমু জানান, তিনি ঘুরে দেখেছেন সেসব স্থান। তিনি হেঁটেছেন রেড কার্পেট এলাকায়।
সুমাইয়া শিমু জানালেন, ডলবি থিয়েটার ছাড়াও তিনি ঘুরে বেড়িয়েছেন ‘ওয়াক অব ফেম’ এলাকায়। দেখেছেন বিখ্যাত সব ব্যক্তির হাতের ছাপ, পায়ের ছাপ আর স্বাক্ষর।
এবার ঈদের কাজ প্রসঙ্গ। সুমাইয়া শিমু বললেন, ‘অনেক দিন থেকেই আমি স্বামীর সঙ্গে বেড়ানো আর পারিবারিক কিছু কাজ নিয়ে খুব ব্যস্ত। আর এবার তো চলে এলাম যুক্তরাষ্ট্রে। যদিও ঈদের আগেই দেশে ফিরব, কিন্তু ঈদের জন্য আলাদা করে কোনো কাজ করা হয়নি।’