২ ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলকে অ্যাপল

66

প্রথম মার্কিন কোম্পানি হিসেবে দুই ট্রিলিয়ন ডলার স্পর্শ করল প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপল। ২০১৮ সালে এক ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে অ্যাপল। মাত্র দুই বছরের মধ্যে পুঁজিবাজারে কোম্পানির মূল্য দুই ট্রিলিয়ন হয়ে গেল (১ ট্রিলিয়ন সমান ১ লাখ কোটি)। বিবিসি অনলাইনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়।

গতকাল বুধবার লেনদেনের শুরুতেই ধাঁ ধাঁ বেড়ে যায় শেয়ারের দাম, যা কোম্পানিটিকে দুই ট্রিলিয়ন ডলারের দিকে নিয়ে যায়।

এর আগে বিশ্বের একটি কোম্পানিই দুই ট্রিলিয়ন ডলারের মাইলফলক স্পর্শ করে। সেটি ছিল সৌদি আরবের রাষ্ট্রায়ত্ত তেল কোম্পানি সৌদি আরামকো। গত বছর পুঁজিবাজারে নাম লিখিয়েই এই শিখরে পৌঁছায় তারা। তবে পরে এর দাম কিছুটা কমে যায়। এখন কোম্পানিটির দাম ১ দশমিক ৮ ট্রিলিয়ন ডলার। জুলাইতে অ্যাপল তা ছাড়িয়ে যায়। অ্যাপল এখন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দামের কোম্পানি।

করোনা সংক্রমণের কারণে অ্যাপল চীনে তাদের আইফোন উৎপাদনকারী কারখানাগুলো বন্ধ করে দেয়, খুচরা বিক্রিও বন্ধ হয়ে যায় রিটেইল শপগুলোয়। এর পরও কোম্পানিটির শেয়ারের দাম এ বছর বৃদ্ধি পেয়েছে ৫০ শতাংশের বেশি।

করোনার কারণে ইন্টারনেটের প্রয়োজন বেড়েছে মানুষের। স্মার্ট ফোনের বিক্রি কমলেও অনলাইনে হচ্ছে পাঠদান, অফিস, সেমিনার-মিটিং। ব্যাপক এ চাহিদায় পোয়াবারো টেক কোম্পানিগুলোর। অ্যাপল, ফেসবুক আমাজনের প্রতিষ্ঠানগুলোর মুনাফা বাড়ছে ব্যাপক হারে।

অ্যাপলের বর্তমান প্রধান নির্বাহী হন টিম কুক দায়িত্ব পান ৯ বছর আগে। প্রতিষ্ঠাতা স্টিভ জবসের কাছ থেকে দায়িত্ব পান তিনি। ৪৪ বছর আগে এই কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করেন জবস। তিনি যখন মারা যান, তখন অ্যাপলের বাজারমূল্য ছিল ৩৫০ বিলিয়ন (৩৫ হাজার কোটি) ডলার। কোম্পানির মূল্য বাড়লেও বিগত দশকে আইফোনের মতো কোনো ‘গ্রাউন্ড ব্রেকিং’ পণ্য আনেনি অ্যাপল। কুক অবশ্য নতুন নতুন কিছু প্রযুক্তি নিয়ে ভাবছেন। দেখা যাক, সামনে কী নিয়ে আসে অ্যাপল।

তবে অ্যাপলের পেছনে পেছনে এগিয়ে আসছে আরও দুই টেক ফার্ম। আমাজন ও মাইক্রোসফট দুটি কোম্পানিরই বাজারমূল্য এখন ১ দশমিক ৬ ট্রিলিয়ন ডলার। আরেক প্রযুক্তি জায়ান্ট গুগলের অ্যালফাবেটের দর এখন ১ ট্রিলিয়ন ডলারের ওপরে।