বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক ঠিক করার লক্ষ্যে ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষ বর্ধন শ্রিংলা এক ঝটিকা সফরে ঢাকা এসেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ভারতের সংবাদমাধ্যম দ্য প্রিন্ট।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনা লকডাউন শুরুর পর এটাই শ্রিংলার প্রথম ঢাকা সফর।
খুবই গুরুত্বপূর্ণ এই সাক্ষাৎ এর লক্ষ্য হলো দুই দেশের সম্পর্ক ‘পুনরায় ঠিকঠাক’ করে নেয়া যখন খবর আসছে, ঢাকা চীনের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সাথেও শ্রিংলার বৈঠকের কথা রয়েছে। শ্রিংলার সাথে থাকবেন ঢাকাস্থ ভারতের হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাস এবং যুগ্মসচিব স্মিতা পান্ত যিনি বাংলাদেশ এবং মিয়ানমারের সাথে ভারতের সম্পর্ক দেখভাল করেন।
প্রিন্ট এর প্রতিবেদনে আরো বলা হয়, শ্রিংলার ঝটিকা সফরের খবর এমন সময়ে এলো যখন ঘোষণা হয়েছে বাংলাদেশ খুব দ্রুত তিস্তা নদী প্রকল্পে চীন থেকে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার পেতে যাচ্ছে।
২০১৫ সালে বাংলাদেশ সফরের সময় নরেন্দ্র মোদি তিস্তা ইস্যুর আশু সমাধান হবে বলে শেখ হাসিনাকে কথা দিলেও এখন পর্যন্ত বিষয়টির তেমন কোন অগ্রগতি হয়নি। ২০১১ সালে তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি প্রায় হয়েই গিয়েছিলো। যদিও শেষ মুহুর্তে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি সহযোগিতা না করায় তা ভেস্তে যায়।
স্থানীয় গণমাধ্যমের কথা উল্লেখ করে প্রতিবেদনে বলা হয়, মোদি সরকার ব্যর্থ হওয়ায় বাংলাদেশ এখন চীনের সাথে এ নিয়ে চুক্তি করতে যাচ্ছে। বাংলাদেশ-ভারত যৌথ নদী কমিশনের একমাত্র সদস্য মাহমুদুর রহমান বেনারনিউজকে বলেন, এই মুহুর্তে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোন অগ্রগতি নেই।
ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও দুদেশের সম্পর্ক খারাপ হওয়ার কথা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়। এছাড়া ভারতের সীমান্তে প্রতিবন্ধকতা তৈরির কথা উল্লেখ করে বলা হয়, বাংলাদেশ নিজ সীমান্তে সকল প্রতিবন্ধকতা তুলে নিলেও ভারত তা বন্ধ করে রেখেছে।