ব্যাটে-বলে ভাগ্য মিলে

15
‘আজ আমরা দুজন পরস্পরের সঙ্গে ভালোবাসার বন্ধনে আবদ্ধ থাকার প্রতিজ্ঞা করলাম। আজ এই খুশির খবর আপনাদের সবাইকে জানাতে পেরে আমরা সত্যিই আনন্দিত। এই সুন্দর দিনটি আমাদের পরিবার, ভক্ত ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের সমর্থনে আরও বিশেষ হয়ে উঠেছে। আমাদের এই যাত্রার এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে থাকার জন্য আপনাদের সবাইকে ধন্যবাদ।’ ছোট এই বিবৃতি দিয়ে সব গুঞ্জনের অবসান করলেন সদ্যবিবাহিত দম্পতি বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মা। বলিউড কিংবা ক্রিকেটপাড়া হোক, এত দিন এই ক্রিকেটার আর অভিনেত্রীর প্রেমের গুঞ্জনটা যেন থামছিলই না। গণমাধ্যমকে ফাঁকি দিতে ইতালির মিলানে গিয়ে ৯ ডিসেম্বর গাঁটছড়া বাঁধলেন ক্রিকেট তারকা বিরাট আর বলিউড তারকা আনুশকা। ভক্তরা তাঁদের আদর করে নাম দিয়েছে ‘বিরুশকা’। বাজারে টাটকা খবর বলতেই এখন বিরুশকা দম্পতির বিয়ের খবর। তাঁদের বিয়ের ছবি এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে পড়েছে। ক্রিকেট তারকা ও বলিউড তারকার ব্যাটে-বলে ভাগ্য মিলে যাওয়ার তালিকাটা শুরু হয় আরও অনেক আগে। শর্মিলা ঠাকুর ও মনসুর আলী খান পতৌদির বিয়ে দিয়ে শুরু হয় তা।


মনসুর–শর্মিলা
বলিউড কিংবা টালিউড, একসময়ের সাড়া জাগানো নায়িকা ছিলেন শর্মিলা ঠাকুর। আর নবাব পরিবারের ছেলে মনসুর আলী খান পতৌদি ছিলেন ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। বলিউডের ‘রাজকন্যা’ আর ক্রিকেটের ‘রাজকুমার’-এর বিয়ে হয় ১৯৬৯ সালের ২৭ ডিসেম্বর। শর্মিলার মন পেতে চার বছর লেগেছিল মনসুরের। গোলাপ, প্রেমপত্র এমনকি ফ্রিজ উপহার দিয়ে পটাতে হয়েছে শর্মিলাকে। মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে শর্মিলার বাবা-মা ভেবেছিলেন, এত নামী বংশের ছেলের সঙ্গে বিয়েটা হয়তো টিকবে না। সেই সঙ্গে আবার দুজন ভিন্ন ধর্মের। কিন্তু না, তাঁদের ভালোবাসা আজ পর্যন্ত দৃষ্টান্ত হয়ে আছে। ২০১১ সালে সাইফ আলী খান, সাবা আলী খান ও সোহা আলী খানের জনক মনসুরের প্রয়াণ হয়।


গীতা-হরভজন
সালটা ছিল ২০১৫। পাঞ্জাবের জলন্দরে ধুমধাম করে পাঞ্জাবি রীতিতে বিয়ে করেন ক্রিকেট তারকা হরভজন সিং এবং বলিউড অভিনেত্রী গীতা বসরা। হরভজন প্রথম দেখাতেই প্রেমে পড়েছিলেন গীতার। তিনি বলেছেন, ‘আমি যখন লন্ডনে কাউন্টি ক্রিকেট খেলছিলাম, ওকে তখন “ও আজনাবি” গানে দেখেছিলাম। আমি আমার বন্ধুকে বলি, আমি এই মেয়েটার সঙ্গে দেখা করতে চাই।’ সাউথ আফ্রিকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার পর হরভজন গীতাকে কফি খেতে দেখা করতে বলেন। তারপরই শুরু…

সংগীতা–আজহার
বিবাহিত থাকা সত্ত্বেও ১৯৯৪ সালের দিকে গুঞ্জন উঠেছিল ক্রিকেট অধিনায়ক আজহারউদ্দিন নাকি প্রেম করছেন মডেল ও অভিনেত্রী সংগীতা বিজলানির সঙ্গে। এক বিজ্ঞাপনের শুটিং করতে গিয়ে পরিচয় হয়েছিল তাঁদের। পরে সত্যি সত্যিই ১৯৯৬ সালে প্রথম স্ত্রী নওরিনকে তালাক দিয়ে সংগীতাকে বিয়ে করেন আজহার। কিন্তু ভালোবাসার ঘর টেকেনি তারকা দম্পতির। ২০১০ সালে বিবাহবিচ্ছেদ হয় আজহার-সংগীতার।


আনুশকা–বিরাট

বিয়ের আগ পর্যন্ত প্রেমের ব্যাপারে মুখ খোলেননি তাঁরা। ২০১৩ সালে এক বিজ্ঞাপনচিত্রের শুটিং করতে গিয়ে পরিচয় হয় বিরাট কোহলি ও আনুশকা শর্মার। পরিচয় থেকে ধীরে ধীরে প্রণয়। মাঝে সম্পর্কের টানাপোড়েন। শোনা যায়, ভেঙে গিয়েছিল তাঁদের প্রেম। কিন্তু বিচ্ছেদ সইল না আর। বিয়ে করে ‘বিরুশকা’ নামটাকে স্থায়ী করে দিলেন।


হেজেল–যুবরাজ
সাবেক ক্রিকেট অধিনায়ক যুবরাজ সিংহের প্রেমিকার তালিকাটা নেহাত ছোট নয়। বলিউড অভিনেত্রীদের সঙ্গেই তাঁর প্রেমের গুজব ছড়িয়েছিল বেশ। কিম শর্মা, প্রীতি জিনতা এমনকি দীপিকা পাড়ুকোনও আছেন এই তালিকায়। শেষমেশ ঘোষণা দিয়ে নিজের উইকেটের পতন ঘটান যুবরাজ। গত বছর বিয়ে করেন মডেল ও অভিনেত্রী হেজেল কিচকে।

 

জহির-সাগরিকা

যুবরাজ ও হেজেলের বিয়েতে প্রথম একসঙ্গে দেখা যায় সাবেক ক্রিকেটার জহির ও অভিনেত্রী সাগরিকা ঘাটগের। তখন থেকেই কানাঘুষা চলছিল, তাঁদের মধ্যে হয়তো প্রেম আছে। কথাটা সত্য হলো। গত মাসেই বিয়ের কাজটা সেরে ফেলেছেন পেসার জহির আর চাক দে ছবির অভিনেত্রী সাগরিকা।