বিশ্বের অর্ধেকের বেশি শিশু চরম দারিদ্র্য, যুদ্ধ অথবা লিঙ্গবৈষম্যের কারণে চরম ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
১ জুন আন্তর্জাতিক শিশু দিবস উপলক্ষে গতকাল বুধবার লন্ডনভিত্তিক আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থা সেভ দ্য চিলড্রেনের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে আসে।
সংস্থাটি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ বিষয়গুলো কীভাবে শিশুদের কাছ থেকে তাদের শৈশব ছিনিয়ে নিচ্ছে, তা নিয়ে গবেষণা চালিয়েছে।
সংস্থাটি দেখেছে, ১০০ কোটির বেশি শিশু দারিদ্র্যকবলিত দেশে বাস করে, ২৪ কোটি শিশু যুদ্ধের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত এবং ৫৭ কোটি ৫০ লাখ মেয়েশিশু লিঙ্গবৈষম্যের শিকার।
দক্ষিণ সুদান, সোমালিয়া, ইয়েমেন, আফগানিস্তানসহ প্রায় ২০টি দেশে ১৫ কোটি ৩০ লাখ শিশু এই তিন ধরনের ঝুঁকিতে আছে।
সেভ দ্য চিলড্রেনের সিইও ক্যারোলিন মাইলস বলেন, ‘আমরা অনেক দেশে কিছুটা অগ্রগতি দেখছি। এই দেশগুলোতে বাল্যবিবাহ, শিক্ষাবঞ্চিত ও ভগ্ন স্বাস্থ্যের মতো বিষয়গুলোর উন্নতি ঘটেছে। তবে বিশ্বের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ শিশুদের জন্য এটা দ্রুত ঘটছে না।’
প্রতিবেদনটিতে শিশুদের জন্য সবচেয়ে বেশি ও সবচেয়ে কম ঝুঁকির ১৭৫টি দেশের সূচক দেখানো হয়েছে।
কম ঝুঁকির দেশের তালিকায় যৌথভাবে প্রথম সিঙ্গাপুর ও স্লোভেনিয়া প্রথমে রয়েছে। এ ছাড়া প্রথম পাঁচটি দেশের অন্য তিনটি হলো নরওয়ে, সুইডেন, ফিনল্যান্ড। আর সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ ১০টি দেশের আটটি দেশই পশ্চিম ও মধ্য আফ্রিকার। যুক্তরাষ্ট্র রয়েছে ৩৬তম অবস্থানে।
বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ২০৩০ সাল নাগাদ শিশুদের শিক্ষা, সুরক্ষা, সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে জাতিসংঘের কাছে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, মাইলস তা পূরণ করতে অবিলম্বে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।