ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা নিশ্চিত করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ২০১৫ সালে যে আইনটি পাস করান, তা বদলে যেতে পারে। এ জন্য দেশটির ফেডারেল কমিউনিকেশনস কমিশন (এফসিসি) গত বৃহস্পতিবার একটি ভোটের আয়োজন করে। কিন্তু ট্রাম্পের নিয়োগ করা এফসিসির বর্তমান সভাপতি অজিত পাই আশা করছেন ভোটের ফলাফল তাঁদের পক্ষেই যাবে। মূলত এফসিসি চায় নতুন একটি আইন পাস করাতে।
বারাক ওবামার সময়ে পাস হওয়া আইন অনুযায়ী, ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কোনো বিশেষ ওয়েবসাইট বা অ্যাপের ইন্টারনেট গতি বেশি বা কমিয়ে দিতে পারত না। মূলত ইন্টারনেট উন্মুক্ত এবং ন্যায্য রাখার উদ্দেশ্যে এই আইন প্রণয়ন করা হয়েছিল। আর সেই আইন বাতিল করতে উঠেপড়ে লেগেছে এফসিসি। তাদের প্রস্তাবিত নতুন আইনের আওতায় ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর দেওয়া নিষেধাজ্ঞা উঠিয়ে নেওয়া হবে।
অজিত পাই পূর্বের আইন প্রসঙ্গে বলেন, বর্তমানে থাকা আইনটির মাধ্যমে ইন্টারনেট সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর অনেকটা অন্যায্য আইনই চাপিয়ে দেওয়া হয়েছিল। প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাদের নিজস্ব পদ্ধতিতে কার্যক্রম পরিচালনা করার অধিকার রয়েছে। তিনি আরও বলেন, নতুন আইনের মাধ্যমে ইন্টারনেট প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর থেকে সরকারের নিয়ন্ত্রণ তুলে নেওয়া হবে।
এদিকে প্রস্তাবিত আইনটির পক্ষে ইতিমধ্যে টুইটার, রেড্ডিট, কিকস্টার্টারসহ আরও অনেক ওয়েবসাইট কর্তৃপক্ষই সাধুবাদ জানিয়েছে। কিন্তু যুক্তরাষ্ট্রের বেশির ভাগ জনগণ এই আইনের বিরোধিতা করছেন। অনেকেই বিভিন্ন ইন্টারনেট সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠানের সামনে বিক্ষোভ মিছিল ও আন্দোলন করেছেন। ইন্টারনেট বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নতুন আইনটি পাস হলে ইন্টারনেট দুনিয়া বেশ বেপরোয়া হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। সেই সঙ্গে ইন্টারনেটে কোন ধরনের তথ্য সরবারহ করা হবে, তা-ও অনিয়ন্ত্রিত হয়ে পড়ার ঝুঁকি রয়েছে।