এনসিসিসির সভায় নম্বর ও বিষয় কমানোর সিদ্ধান্ত হয়নি

25

আগামী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে নম্বর ও বিষয় কমানোর সিদ্ধান্ত জানতে শিক্ষার্থীদের অপেক্ষা আরও বাড়ল। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, ৩১ মে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আজ রোববার এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির (এনসিসিসি) সভা হলেও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

অবশ্য সচিব নম্বর ও বিষয় কমানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন। নম্বর ও বিষয় কমলে সিলেবাসও কমবে বলে তিনি জানান। উদাহরণ হিসেবে তিনি বলেন, ১৫০ নম্বরের পরীক্ষা হলে যদি ১৫টি প্রশ্ন পড়তে হতো, সেখানে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হলে হয়তো ১০টি প্রশ্ন পড়তে হবে। তিনি বলেন, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের চিন্তার কোনো কারণ নেই। শিক্ষার্থীদের ওপর চাপ কমানো হবে।

এর আগে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের সংগঠন আন্তশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটি জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষা থেকে সাতটি বিষয়ে মোট ৬৫০ নম্বরের পরীক্ষা নেওয়ার প্রস্তাব করেছিল। এই প্রস্তাবের সঙ্গে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ও একমত পোষণ করেছে। বর্তমানে চতুর্থ বিষয়সহ ১০টি বিষয়ে মোট ৮৫০ নম্বরের পরীক্ষা হয়। প্রস্তাব অনুযায়ী, জেএসসিতে বাংলা প্রথম ও দ্বিতীয় পত্র মিলে ১০০ নম্বরের একটি পরীক্ষা হবে। ইংরেজিতেও দুই পত্র মিলে ১০০ নম্বরের পরীক্ষা হবে। এখন দুই পত্রের জন্য দুটি পরীক্ষা হয়, দুটি পত্র মিলিয়ে মোট নম্বর থাকে ১৫০। প্রস্তাব অনুযায়ী চতুর্থ বিষয়ের পরীক্ষা এখন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানেই ধারাবাহিকভাবে মূল্যায়ন করা হবে। তবে গণিত, ধর্ম, বিজ্ঞান, বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় এবং তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ের পরীক্ষা আগের মতো আগের নম্বরে অনুষ্ঠিত হবে। ৮ মে শিক্ষা বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানরা এই দুই পরীক্ষায় নম্বর ও বিষয় কমানোর প্রস্তাব করেছিলেন। ইতিমধ্যে শিক্ষাবর্ষের প্রায় পাঁচ মাস জলে যাওয়ায় এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা চলছে।

সভায় আলোচ্য বিষয় না থাকলেও এক প্রশ্নের জবাবে সচিব মো. সোহরাব হোসাইন বলেন, পরীক্ষায় এমসিকিউ নিয়ে আগের সিদ্ধান্তের কোনো পরিবর্তন হয়নি।