প্রবাসে প্রথম শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মোৎসব উদযাপিত

33
Tofazzal Liton, NY
¯^াধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পী রথীন্দ্রনাথ রায়, শহীদ হাসান এবং প্রতিতযশা শিল্পী শুভ্রা গো¯^ামীর গলায় ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালবাসি…’ জাতীয় সঙ্গীতের মধ্যে দিয়ে প্রবাসে এই প্রথমবারের মত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত জন্মোৎসব পালিত হয়েছে। নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ২রা নভেম্বর সন্ধ্যায় এ উৎসবের আয়োজন করে সম্প্রতি গঠিত ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত পরিষদ, ইউএসএ।  শিল্পীদের সঙ্গে দাড়িঁয়ে সকল দর্শক জাতীয় সঙ্গীত গেয়েছেন।
এর পরেই শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’র প্রতিকৃতিতে প্রদীপ প্রজ¦লন করে উপস্থিত সবাই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। সংগঠনের সভাপতি শিতাংশু গুহ’র সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানটি গ্রন্থনা, উপস্থাপনা এবং পরিচালনা করেন সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক তোফাজ্জল লিটন। ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ১৩২তম জন্মদিনের এ অনুষ্ঠানটি পরিকল্পনা করেন গোপাল স্যান্যাল।
সংগঠনের সভাপতি শিতাংশু গুহ তাঁর ¯^াগত বক্তব্যে বলেন, আজ একটি ঐতিহাসিক ঘটনার জন্ম হলো, প্রবাসে  শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত-র জন্মোৎসব পালন করে আপনারা সবাই একটি ইতিহাসের অংশীদার ও সা¶ী হয়ে থাকলেন। সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি জানান, ২১শে এপ্রিল রোববার জুইস সেন্টারে প্রথম ‘শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত’ সমাৰোক বক্ত্রিতা অনুষ্ঠিত হবে। তিনি বলেন, শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ¯^াধীনতা পুরস্কার পেয়েছেন, তার একুশে পদক পাওয়া উচিত।
এরপর ঢাকা থেকে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত-র নাতনী এরোমা দত্ত’র শুভেচ্ছা পথ করে শোনান মাথিউস বাবুল রোজারিও।  সৈয়দ শামসুল হকের ‘আমার পরিচয়’ কবিতাটি অনবদ্য আবৃতি করেন বাচিক শিল্পী গোপন সাহা। এ সময় ‘বীণে ¯^দেশী ভাষা মিতে কি আশা’ গানটি পরিবেশন করেন শুভ্রা গো¯^ামী। ভাষা বিশ্লেষক মিথুন আহমেদ তাঁর নিজের লেখা গবেষণামূলক প্রভাষণ ‘ শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্তের ভাষাপ্রস্তাব ও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন ঃ একটি সমাজ ভাষাতাত্তি¡ক পর্যালোচনার সমীক্ষা’  উপস্থাপন করেন । প্রভাষণটি ছিলো অনুষ্ঠানের একটি মৌলিক অধ্যায়। এরপর ওবায়েদুল্লাহ মামুন  শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত ঠিক কি প্রস্তাবটি পাকিস্তান গণপরিষদে তুলেছিলেন তা পাঠ করে শোনান। তাঁর পরিবেশনা ছিলো চমৎকার । শ্রোতারা মন্ত্রমুগ্ধের মত তাঁর পাঠ করা শুনেন।
সবশেষে প্রবীণ সাংবাদিক সৈয়দ মোহাম্মদ উল্লাহ সমাপনী ভাষণ দেন। তিনি অনুষ্ঠানটির ভূয়সী প্রশংসা করেন। অনুষ্ঠানের শুরুতে শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত-সহ সকল শহীদের স্মৃতিতে দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। হলভর্তি মানুষ পুরো অনুষ্ঠানটির ব্যপক প্রশংসা করেন। এক ঘন্টা ব্যাপীর এ অনুষ্ঠানটি ছিলো পরিকল্পিত এবং পরিচ্ছন্ন ।
অনেকে মন্তব্য করেছেন, অনেকদিন পর নিউইয়র্কে একটি সুন্দর পরিচ্ছন্ন অনুষ্ঠান দেখলাম। বেলাল বেগ, ফজলুর রহমান, অধ্যাপীকা হোসনে আরা, নিনি ওয়াহেদ, রেজাউল বারী, বিশ্বজিৎ সাহা, মুজাহিদ আনসারি, প্রতিপ দাশগুপ্ত, সৈয়দ জাকির আহমেদ রনি,  বিভাস মল্লিক, প্রদীপ সাহা, মিনহাজ পারভেজ, মনিকা রায়, নাসরিন চৌধুরী, ও অন্যান্যরা তাৎ¶ণিকভাবে অনুষ্ঠাটির প্রশংসা করেন।