ছাগলনাইয়ার পাঠাননগরে ডাকাত দলের হামলায় ১ যুবক নিহত॥ আহত ৪ নারী

53

কফিল উদ্দিন মজুমদার (ফেনী): ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার ৬ নং পাঠাননগর ইউনিয়নের দক্ষিণ হরিপুর গ্রামের হানিফ মাস্টার বাড়ির প্রবাসী দেলোয়ার হোসেন প্রকাশ দেলু মেস্ত্রির নতুন বাড়িতে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ২ ঘটিকার সময় এক দূর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এতে এক পুরুষ ও চার নারীসহ একই পরিবারের মোট ৫ জন গুরুতর আহত হয়। আহতরা হলেন, প্রবাসী দেলোয়ার হোসেনের স্ত্রী আলেয়া বেগম (৫০), ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন (৩০), ছেলের বৌ তাসলিমা আক্তার (২০) মেয়ে ফারজানা আক্তার (২৩) ও ছোট মেয়ে ফারহানা আক্তার কলি (১৪)। আবদুল্লাহ আল মামুনের তলপেটে ও শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে অন্তত ৮/১০টি গুলিবিদ্ধ হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়। মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) বিকেল ৫ ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় গুলিবিদ্ধ মামুন মারা যায় বলে তার ভগ্নীপতি জিয়াউল হক ভুইয়া জানায়। ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে আহত ফারজানা জানায়, ৮/৯ জন ডাকাত দলের সদস্য মুখ বাঁধা অবস্থায় সীঁধ কেটে আমাদের ঘরে প্রবেশ করে এবং মামুন ব্যতিত ঘরের সকল মহিলাদের হাত পা দড়ি দিয়ে বেঁধে ফেলে এবং অমানুষিক নির্যাতন শুরু করে। ঘরের অন্য কক্ষে থাকা আবদুল্লাহ আল মামুন দরজা খুলে বের হয়ে ডাকাতদের প্রতিহত করার চেষ্টা করলে ডাকাত দলের সদস্যরা তাকে গুলি করে এবং তার মাথায় ও হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। ফারজানা আরোও জানায়, তার ছোট বোন ফারহানা আক্তার কলির পুরো শরীরে কিল, ঘুষি ও ধারালো অস্ত্র দিয়ে দুই উরুতে ও ঘাড়ে আঘাত করে। এসময় ডাকাত চক্র মোবাইল ফোন ও স্বর্ণালংকারসহ মোট ৫০ হাজার টাকার মালামাল লুটে নেয়। প্রত্যক্ষদর্শী আবদুল আউয়াল জানায়, রাত ২টায় নতুর বাড়ী থেকে ফোনে ডাকাত দলের আগমনের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাওয়ার পথিমধ্যে ডাকাত দল আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুটে যা আমার কানের পাশদিয়ে চলে যায়।

ডাকাতির ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন, ফেনীর পুলিশ সুপার খোন্দকার নুরুন্নবী, সহকারী পুলিশ সুপার (ছাগলনাইয়া সার্কেল) নিশান চাকমা, ছাগলনাইয়া থানার ওসি মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ, ডিবি ইন্সপেক্টর মোঃ নুরের জামান, স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল হায়দার চৌধুরী জুয়েল প্রমুখ। ছাগলনাইয়া থানার ওসি মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ঘটনাস্থল আমরা পরিদর্শন করেছি এবং সঠিক তদন্ত সাপেক্ষ ঘটনার সাথে জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার চেষ্টা চলছে। স্থানীয়দের ধারণা মহিলাদের ডাকাত দলের আক্রমণ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করতে গেলেই মামুনের শরীরে তারা গুলি করে। এ ঘটনায় অত্র এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।