সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন উচ্চধাপে নির্ধারণ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের উন্নীত স্কেলে বেতন নির্ধারণের ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগের কয়েকটি সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে।
এর আগে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন উচ্চধাপে নির্ধারণ চেয়ে গত ২৮ জুলাই অর্থ মন্ত্রণালয়ে চিঠি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।
সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১৩তম ও প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীত করা হলেও অনেক শিক্ষকের এতে বৈষম্যের শিকার হওয়ার বিষয়টি উল্লেখ করে চিঠিতে বলা হয়, সারাদেশে ৬৫ হাজার ৬২০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তিন লাখ ৫৪ হাজার ৭৭২ জন শিক্ষক আছেন। বেতন স্কেল উন্নীতকরণ সরকারের একটি যুগান্তকারী সিদ্ধান্ত হওয়া সত্ত্বেও মাঠপর্যায়ে শিক্ষকদের মধ্যে হতাশা ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। ফলে সরকারের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হওয়ার পরিবর্তে ক্ষুণ্ন হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়, ‘ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের উন্নীত বেতন স্কেলে বেতন নির্ধারণে এরূপ সমস্যার ক্ষেত্রে অর্থ বিভাগ ২০১৯ সালের ১১ নভেম্বর সংশ্লিষ্ট স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণ করে বৈষম্য নিরসনের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একই নির্দেশনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হলে মাঠ পর্যায়ে শিক্ষকদের মাঝে সৃষ্ট অসন্তোষ নিরসন হবে মর্মে প্রতীয়মান হয়। এমতাবস্থায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের বেতন বৈষম্য দূরীকরণের লক্ষ্যে ভূমি মন্ত্রণালয়ের অধীন কানুনগো/উপসহকারী সেটেলমেন্ট অফিসার পদধারীদের ন্যায় সংশ্লিষ্ট বেতন স্কেলের উচ্চধাপে বেতন নির্ধারণে অর্থ বিভাগ জারিকৃত পত্রের অনুরূপ নির্দেশনার জন্য অনুরোধ করা হল।
প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দেওয়া চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হলো।